করোনায় আবুলেরা
__ প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত
দেশটা জুড়ে করোনার এক অসহ্য আতংক
অসচেতন নিরক্ষর সহজ সরল মানুষেরও
কোভিড নিয়ম মানার সেকি চেষ্টা অহর্নিশ!
ভালো জানুক বা নাজানুক,বুঝুক বা নাবুঝুক
মাস্ক ব্যবহার করার চেষ্টা সবার প্রাণে মনে।
জানি ওরা গরীবের মধ্যেও গরীব জনগোষ্ঠী
চাউল কিনতে কভু পারুক বা না-ই পারুক
ওরাই কিনছে মাস্ক স্যানিটারাইজার কত কী!
বেলা শেষে খাবারটুকু যোগান হলেই যেন
ওরা মহাখুশি, মাটির মেঝেতেই সুখের ঘুম।
কখনও বা যদি কাজে বের হওয়ার ব্যস্ততায়
মনের নিতান্ত ভুলেই মাস্ক না নিয়ে বের হয় কেউ
চলে পুলিশের প্রহার, কখনও কান ধরে ওঠবস।
নানা রং ঢং এর সচেতন মানুষের শাসন চলে
দিন এনে দিন খাওয়া সেই নিরন্নদের প্রতিই।
মানবতার জননী সমব্যথী সদা ওদের জন্যই,
ওদের মুখে একটু সুখের হাসি দেখতেই
ত্রাণ সাহায্যের মত নানা খাদ্য উপকরণ
স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া তাঁর সরকারের।
শুনেছি ওটাও নাকি ওদের ভাগ্যে জোটেনা
সচেতন আবুলদের পেট ভরতেই বুঝি শেষ।
যা যতটুকু অবশিষ্ট তা নিয়েই ওরা খুশি।
মুখে ফুটে ওঠে পরিতৃপ্তির স্নিগ্ধ সরল হাসি,
আবুলরা ওভাবে হাসতে পারেনা কোনদিন।
শোনা যায়, চেয়ারম্যান নামক আবুলরাও
ত্রানের চাল দিয়েই সংসার চালায় কেউ কেউ!
ওরা লজ্জা পায়না, ত্রান যে সরকারি সম্পদ!
ওটাতে ওদেরই অধিকার নাকি একটু বেশী
তাইতো বছর বছর ত্রানের চালেই ওদের চলা।
আবুলরা নিজ বাড়ীতে ঐ চাল খায়ও ভালো
যদিওবা অপরবাড়ীতে বালাম ছাড়া রোচেনা।
আজ আবার পত্রিকায় দেখলাম অন্য কিছু
আবুলদের খাই নাকি বেড়ে গেছে করোনায়!
সাধারণ মানুষের কাছে করোনা আতংক হলেও
আবুলদের কাছে করোনা এক বিশাল আশীর্বাদ!
ঢাকা মেডিকেলের আবুলদের খাই বড্ড বেশিই
এক মাসেই খাই খরচ বিশ কোটি! বড় লজ্জা!
খেটে খাওয়া মানুষ আজ কর্মহীন হয়ে অসহায়
আবুলরা পকেট ভরে,বাড়তি সুযোগে সুখ সজ্জা।
করোনা তুমি চলে যাও, চলে যাও বিশ্ব ছেড়ে
আর দিয়ে যেও সব আবুলদের এক চরম শিক্ষা
তা না হলে এদের খাই খাই থাকবে চিরকাল
খাই বেড়েছে খাই বাড়বে খাই রবেই চির বহাল।