আগে দেখা যেত, ছোট শিশুরা হাঁটা শেখার পর বাবা-মায়ের কাছে প্রথম যে জিনিসটি শখ করে চায় তা হচ্ছে একটি বাইসাইকেল। অনেকে স্কুলেও যায় সেই প্রিয় সাইকেল নিয়ে। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পছন্দের পরিবর্তন দেখা যায়। এখন চাই বাইসাইকেলের জায়গায় মোটরসাইকেল বা গাড়ি। তবে আজকাল বিভিন্ন আবাসিক এলাকার প্রশস্ত রাস্তায় তরুণ-তরুণীদের সকাল-সন্ধ্যায় সাইকেল চালিয়ে ব্যায়াম করতে দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে—তারা জানেন যে, সহজ ও কম খরচে সাইক্লিং হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ব্যায়াম। হার্ট ভালো রাখতে সাইকেল চালানো খুব ভালো উপায়। এর মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় তাই হার্ট ভালো থাকে। হাই ব্লাডপ্রেশার, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে সাইক্লিং। সাইক্লিং ওজন কমিয়ে, হেলদি ওয়েট মেইনটেন করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের ওজন একটু বেশি তাদের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে সাইক্লিং। নিয়মিত সাইকেল চালালে হজমশক্তি বেড়ে গিয়ে বাড়তি ওজন ঝরে যায়। ফলে সমস্ত শরীরের সব অংশের ওপর সমান প্রভাব পড়ে। সাইকেল চালানোর আরও একটা সুবিধা হলো, নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম মানতে হয় না। ঠিক তেমনি একজন মানুষের সাথে আজ আমাদের আড্ডা
মোঃ জহির উদ্দিন, মুন্সীগঞ্জ সদরে তার বাড়ি। সাইক্লিং খুব পছন্দ করেন। ৬৪ জেলা সাইক্লিং করে ঘুরার ইচ্ছা । ইতোমধ্যে সে ১৪ টি জেলা ঘুরে ১৫ তম জেলা পিরোজপুরে ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ সন্ধ্যা ৭ টায় আগমন করেন। এইচডিটির পক্ষথেকে তাদেরকে পিরোজপুর জেলায় বরণ করেন প্রাণফোঁটা, বাবুই ও বিজয় নিশান ।
জহির উদ্দিন বলেন আমার সাইক্লিং এর পেছনের ঘটনা হল মানুষের জীবন ধারার বৈচিত্র্য, তাদের আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি, বিশেষ করে তাদের কথা বলার ভঙ্গি আমাকে খুবই আকৃষ্ট করে। এছাড়া আমি অনেককেই বলতে দেখেছি, এই দেশে কিছু নাই, বিদেশ চলে যাব। আমারও একটা সময় মনে হল, কথাটা হয়তো বা সত্যি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই সাইকেল কিনলাম আর ভাবলাম বিদেশ যখন যেতেই হবে দেশটাকে ঘুরে আসি। কিন্তু মুন্সিগঞ্জ থেকে শরীয়তপুর আসতেই মানুষের আতিথেয়তা, ভালোবাসায় আমি দেশের প্রতি টান অনুভব করলাম। এরপর থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম মানুষকে একেবারে কাছ থেকে দেখবো। এছাড়াও হাইড্রোলিক হর্ন ও প্লাস্টিক আবর্জনা কিভাবে যথাযথ তত্ত্বাবধানে আনা যায় আর দেশের ট্যুরিজম সেক্টরকে আরো সমৃদ্ধ করা যায় সেটাও সাইক্লিং এর মাধ্যমে জানছি আর জানাচ্ছি। এই সম্পর্কিত প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি মুন্সিগঞ্জ সাইক্লিস্ট আর সকল শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকে সাহায্য পাচ্ছি।
আজ পিরোজপুরে এসে এইচডিটির কার্যক্রমের সাথে মিলিত হতে পেরে ধন্য মনেকরছি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি কানাডা প্রবাসী নাছির উদ্দিন ভাই, মশিউর শান্ত, হাছিবুর রহমান, ম. শহিদুল্লাহ, হাফিজুর রহমান সহ সকলকে। যাদের আতিথীয়তা সবসময় মনেথাকবে।
তাই আপনারাও আসুন আমাদের সাথে, মিলিত হই নতুন এক বাংলাদেশ দেখতে।