কম্বল,কাথা, লেপ মুড়িয়ে যখন দেশের সকল মানুষ নিঘুর ঘুমে আচ্ছন্ন, রাত্র তখন ২-৩ টা , হঠাৎ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে জলের মধ্যে হল অগ্নিলীলা, সেই লিলায় প্রাণ হারালো শতাধিক মানুষ, আহত অনেক, ক্ষতির এখনো কোন ক্যালকুলেশন হয়নি। সেই কনকনে শীতে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে স-উদ্যোগে এগিয়ে এল মিলন খান, পেষায় তিনি একজন ট্রলার চালক, গত বৃহস্পতিবার রাতে লঞ্চে আগুন দেখে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া শ তিনেক যাত্রীকে উদ্ধারে কাজ করেছেন তিনি । বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের তীরে পৌঁছে দিয়েছেন। কাউকে কাউকে তিনি হাসপাতালের পথ পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছেন। যাত্রী বহনের পুরো কাজটি তিনি করেছেন বিনা ভাড়ায়। লঞ্চঘাট বেড়িবাঁধ এলাকায় বাড়ি, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে পাঁচজনের সংসার তাঁর। ট্রলার চালিয়েই সংসার চালান । প্রতিদিন তিনি ১০ টাকার বিনিময়ে সদরের দিয়াকুল থেকে শহরের লঞ্চঘাটে যাত্রী পারাপার করেন। তবে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দিন তিনি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা পয়শা নেননি। ঘটনার দিন রাত তিনটা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত আহত যাত্রীদের পারাপারের কাজ করেছেন তিনি। তাঁদের অনেকেই দগ্ধ ছিলেন। হাত-পা ভাঙা ছিল। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন ছিল। দিয়াকুল গ্রামের মানুষের সহায়তায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অন্তত ৩০০ যাত্রী পারাপার করে তীরে ও হাসপাতালে পাঠাতে সহায়তা করেছে সে । তার কথা হল টাকাই সব নয়। বিপদে মানুষকে সহায়তা করেছি, এটাই আমার বড় পাওয়া। আসুন আমরাও মানুষ হই মিলন খান এর মত, তাহলে এগিয়ে যাবে দেশ, এগিয়ে যাবে দেশের মানুষ।’