ভেসে আ’সছে মহাকাশ থেকে র’হস্যময় সিগন্যাল !

0
824

পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো গ্রহে প্রা’ণী আছে কি না, তা নিয়ে আজও বিজ্ঞানীদের মধ্যে তুমুল বিত’র্ক রয়েছে। বিশেষ করে এলিয়েনের কথা প্রায়ই শোনা যায়। যদিও এর সত্যতা এখনও পাওয়া যায়নি। তাহলে যেবার্তা আ’সছে তা কী’সের, এটা কারা পাঠাচ্ছে-এ প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানীরাই দেবেন। তবে এজন্য আমাদের কতদিন বা বছর অ’পেক্ষা ক’রতে হবে তা কারও জা’না নেই। তবে ধীরে ধীরে সেই সত্যতার দিকেই মনে হয় এগুচ্ছে বিজ্ঞানিরা।

৫০ কোটি আলোক`বর্ষ দূ’রের গ্যালাক্সি থেকে ক্রমাগত রেডিও সংকেত আ’সছে পৃথিবীতে। ৪০৯ দিন ধ’রে প্রতি ১৬ দিন পরপর এ সংকেত পা’ঠানো হচ্ছে। মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত শ’ক্তিশালী টেলিস্কোপে ধ’রা পড়েছে এই ঘ’টনা। এই সংকেতগুলোর অদ্ভুত মিল শনা’ক্ত করেছে দ্য কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট বা ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) প্রজেক্ট। টেলিস্কোপ দিয়ে এটি শনা’ক্ত করেন কানাডা ও যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক প্র’তিবেদনে এ খবর জা’নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ‌এফআরবির ঘ’টনা কিন্তু নতুন নয়। কোটি কোটি বছর আগে থেকে এই ঘ’টনা ঘ’টে আ’সছে। কিন্তু এই ফাস্ট রেডিও বার্স্ট স’ম্পর্কে মানুষ প্রথম জানতে পারে ২০০৭ সালে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক ডজনবার শোনা গেছে এমন সিগন্যাল। ২০১৯ সালের জুনে বিজ্ঞানীরা জা’নান, তারা একটি এফআরবি শনা’ক্ত ক’রতে সক্ষম হয়েছে, যার উৎপত্তিস্থল গ্যালাক্সি।তবে বিজ্ঞানীরা জা’নিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই নির্দিষ্ট ধারা লক্ষ্য ক’রেছেন তারা। তবে এ সময়ে যে রেডিও তরঙ্গ ভেসে এসেছে তা একটানা চারদিন আ’সছে।

তারপর ১২ দিনের বিরতি। আবার গোটা প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হচ্ছে।কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইন্টেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্টের (চাইম) ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) প্রজেক্টে ক’র্ম’রত বিজ্ঞানীরা স’ম্প্রতি লক্ষ্য করেন, পৃথিবী থেকে ৫০ কোটি আলোক`বর্ষ দূ’রে একটি নির্দিষ্টজায়গা থেকে ক্রমাগত বার্স্ট (রেডিও সিগন্যালের ধারা) আ’সছে।

সাধারণতভাবে, একক রেডিও বার্স্ট একবারই আসে। তা বারবার হয় না। কিন্তু, এফআরবির মূল চরিত্রই হলো উচ্চশ’ক্তিসম্পন্ন ছোট আ’কারের রেডিও তরঙ্গের বার্স্ট একাধিকবার পা’ঠানো । আর যখন সেগুলোবারবার ফি’রে আসে, তখন একটি ক্লাস্টার (তরঙ্গের একটি আস্ত ঝাঁক) এবং স্পোরাডিক (এলোমেলো ও প্রচ’ণ্ড বিক্ষিপ্ত আ’কার) ধারণ করে থাকে। এফআরবির উৎস কোথায় তার খোঁ’জ ক’রতে বহু চেষ্টা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত প্রত্যেক বার্স্ট একটি নতুন জায়গার সন্ধান দিচ্ছে। বিজ্ঞানীদের দা’বি, প্রথম বার্স্টটি যেখান থেকে এসেছিল, সেই‘এফআরবি ১২১১০২’- এর ঠিকানা ছিল একটি ছোট ছায়াপথ। তারা বলছেন, ওই ছায়াপথে নক্ষ’ত্র ও ধাতব বস্তু রয়েছে। আবার, ‘এফআরবি ১৮০৯১৬’ -এর ঠিকানা আমাদের নিজস্ব ‘মিল্কিওয়ে’ গ্যালাক্সির মতোনো চক্রাকৃতি ছায়াপথ।
বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক ধারণা, কোনো একটি ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষ’ত্র বা কোনো বস্তু তার কক্ষপথে দ্রুতগতিতে চক্কর খাচ্ছে। যে কারণে এ ধ’রনের তরঙ্গ সেখান থেকে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here