ফুরিয়ে যাচ্ছে খানিকটা পথ, পথে হোক দেরি
কবি অলোক মিত্র
জ্যামিতিক কাঁটা কম্পাসের
ছেদবিন্দুতে বিষাদের ছিদ্র সেঁটে
মায়াজম বৃত্ত আঁকি।
ত্রিকোণমিতির ক্লাসে
ইদানিং লেট করি,
অমোনযোগী বলে,
বন্ধুরা বলে আজ
এসব কথা অকোপটেই,
তোকে দিয়ে পাটিগণিত ছাড়া
কিছুই হবে না।
তারপর প্রখর আলোর বিচ্চুরণ
ঠেকিয়ে ডুব দেই
এক গ্লাস ক্লোরোফিলে,
সজীবতার উষ্ণতা
হাতরাই বাসকীর প্রাকৃতিক
সবুজের সমারোহে,
দেখি সেখানেও
আকন্দ ফুলের অলিন্দে
মহাদেব সঞ্জিবনী তুলে রাখে
অমরত্বে অস্থিমজ্জার
ব্যাথার প্রতি পরতে।
দুখ পাখি আর সুখ পাখি
ডানা মেলে আকাশে,
বলে ছেড়ে দেয় আমায়
এই কায়া নশ্বর দেহ থেকে
কিংবা বড় অভিমানী হয়ে
খুঁজে ফিরে নয়াদেহে নিজ প্রাণ।
অবশ্য এখন আমি
যত্রতত্র দুঃখ নেই না
বহন করার সাধ্য আমার নেই বলে।
এখন আমি সহজ করে
প্রেমে জড়াই না ভালোবাসা
নেয়ার প্রবণতা নেই বলে।
এখন আমি দিয়েশলাই কিংবা
একটা সুখটান সিগারেটের মতো
ফুরিয়ে যাই এক নিমিষে।
আলফা বিটায় ব্যবধান কমিয়ে
গ্লুকোজের ভারসাম্য
জমা রাখি প্যানক্রিয়াসে।
মেটাবলিক ডিজঅর্ডার বলে কথা।
সময়কে আর ধরে রাখা যায় না,
সে এখন রাত খেয়ে
দিন দিন খেয়ে রাত
চাঁদের হাটে রবির পরশ।