বিশ্বাস করা কবিরাহ গুনাহ।

0
1003

মুসলিম সমাজে প্রচলিত কতগুলো ঈমান ধ্বংস করা কুসংস্কার! যেগুলো বিশ্বাস করা কবিরাহ গুনাহ।।

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে নানান ধরনের বহু কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। যা প্রতিনিয়ত মানুষ কথায় ও কাজে ব্যবহার করে থাকে। অথচ এগুলোর প্রতি বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকী। এগুলো ঈমানের সাথে হুমকি স্বরূপ। এসব কুসংস্কারের মধ্যে কিছু কিছু হল শিরক এবং স্পষ্ট জাহেলিয়াত। কিছু কিছু আছে কাফরির পর্যায়ের। আবার কিছু কিছু সাধারণ বিবেক বিরোধী এবং রীতিমত হাস্যকরও বটে। . মূলত: বাজারে ‘কি করিলে কি হয়’ মার্কা কিছু বই এসবের সরবরাহকারী। অশিক্ষিত কিছু মানুষ আবার অনেক মুর্খ পন্ডিত অর্থাৎ শিক্ষিত লোক যারা ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ তারা অন্ধবিশ্বাসে এগুলোকে লালন করে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সমাজে ছড়িয়ে- ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য কুসংস্কার থেকে এখানে কয়েকটি মাত্র উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে করে আমরা আমাদের ঈমান কে কুসংস্কার মুক্ত করতে আপনাদের নিকট যদি কিছু জানা থাকে তবে মন্তবের ঘরে সংযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। ঈমান বিধ্বংসকারী কুসংস্কার সমুহঃ

১) বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাত উঠে। ২) খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না। ৩) কাউকে দেখে বলা- আপনার কথা হচ্ছিল আপনার হায়াত আছে। ৪) কোন বিশেষ পাখি দেখলে বা ডাকলে আত্মীয় আসবে মনে করা। ৫) বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার সময় খালি কলস ,কালো বিড়াল, ঝাড়ু দেখলে যাত্রা অশুভ। ৬) খাওয়ার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে খানা কুকুরের পেটে চলে যায়। ৭) ঘর থেকে বের হয়ে পিছন দিকে ফিরে তাকানো বা ডাকা অশুভ । ৮) খানার সময় হেচকি উঠলে কেউ স্মরণ করছে মনে করা। ৯) বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে শিয়ালের বিয়ে হয়। ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে। ১০) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না। ১১) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না। ১২) বাসর ঘরে স্ত্রী নিকট দেন মোহর মাপ চেয়ে নিলেই চলে, দিতে হয় না। ১৩) খালি মুখে মেহমান ফেরত গেলে অমংগল হয়। কাউকে শুধু পানি দেয়া উচিত না। ১৪) কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল/লবন দিতে হয়। ১৫) পরীক্ষা পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। খেলে পরীক্ষায় ডিম (শুন্য) পায়। ১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না। ১৭) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে। ১৮) রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসলে জ্বর হবে। ১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না। রাতে গাছ থেকে ফল পাড়া উচিত না । ২০) রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না। ২১) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে। ২২) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না। ২৩) মহিলাদের বিশেষ দিন গুলোতে সবুজ কাপড় পড়তে হয়,তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না। ২৪) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হয়। ২৫) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না। ২৬) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে। ২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে। ২৮) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই। ২৯) চোখে গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু ছোয়ালে সুস্থ হয়ে যায়। ৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না। ৩১) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে। ৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই। ৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই। ৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে। ৩৫) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই। ৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না। ৩৭) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে। ৩৮) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে। ৩৯) বাচ্চাদের শরিরে লোহা বা তাবিজ থাকতে হবে। ৪০) রুমাল দিলে ঝগড়া হয়।ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি ধার দেয়া যাবে না। ৪১) হোঁচট খেলে মনে করা ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে। ৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে। ৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ। ৪৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে। ৪৫) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই। ৪৬) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই। ৪৭) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই। ৪৮) রাতে কাক বা কুকুর ডাকলে বিপদ আসবে। ৪৯) শকুন ডাকলে, বিড়াল কাদলে মানুষ মারা যাবে। পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে। ৫০) কাউকে ধর্মের ভাই-বোন, বাবা-মা ডাকলেই আপন হয়ে যায়, পর্দা লাগে না। ৫১) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না। ৫২) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে। ৫৩) একবার মাথায় টাক খেলে দ্বিতীয় বার টাক দিতে হবে, নতুবা সিং উঠবে। ৫৪) খানা একবার নেওয়া যাবে না, দুই-তিন বার নিতে হবে। ৫৫) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে। ৫৬) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে। ৫৭) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান হয়, পেট বড় হয়। ৫৮) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে। ৫৯) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে। ৬০) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে রান্না করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে। ৬১) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না। ৬২) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না। ৬৩) সকাল বেলা দোকান খুলে বনি না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না। ৬৪) দাঁড়ী-পাল্লা পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে চুমা করতে হয়, দোকানের টাকার বাক্স সকালে চুমা করতে হয়। গাড়ি/রিক্সা সালাম করে চালান শুরু করতে হয়। ৬৫) শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে। ৬৬) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে দই বলতে হয়। ৬৭) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here