ভাঙ্গা ছাতি
সাইয়েদ সুপ্ত
হঠাৎ বৃষ্টি,ক’দিন ধরে এমনই যাচ্ছে। একটা দোতলা বাড়ির নিচে দাঁড়ালাম। সেখানে দুজন বুড়ো-বুড়িও আমার মত ভিজতে চাইছে না। বুড়ো বলতে সব সময় ষাটের উপরে বয়স হয়। বুড়োটা তার বউকে বলছে- তোরে কইলাম ভাঙ্গা ছাতিডা লইতে,এহন হেডা কামে লাগদে না!..
বুড়ি বললো- কি আর কামে লাগদে একজনরে তো ভেজাই লাগদে।
বুড়ো – তোরে আনাই ভুল অইছে। তোর লাইগাই বৃষ্টি নামছে
বুড়ি – হয় বুজ্জি (পানের মোচা খুলে) নেন পান খান।
আমি অন্য দিকে তাকিয়ে মোবাইলে আঙ্গুল ঘষতেছি আর তাদের কথা শুনছি। মাস্ক পরে আছি বলে নিশ্বব্দ হাসি তারা দেখছেনা। এবার বলি এই দোতলা বাড়িটার কথা- ভদ্রলোকের এই বাজারে বড় ব্যবসা আছে। চাইলে প্রতি বৃষ্টির সিজনে এলাকার সবাইকে ছাতা গিফট করতে পারেন। বছর খানেক আগে ধুমধামে বিয়ে করলেন। কি কি সব কারনে তাদের বনিবনা হয়নি। ভদ্রলোক তার বউকে রাখতে পারলেন না,ফাইল ডিসমিস। শুনেছি খুব শিঘ্রই আবার বিয়ে করবেন। সেই বিয়েটা টিকুক। আমীন।
বৃষ্টি একটু কমেছে। বাকি পথটা জোর পায়ে গেলে ভেজার তুলনায় পথ বেশী কমবে।