কেউ না জানুক
সাইয়েদ সুপ্ত
কোনো কোনো রাতের আমি হই না
কোনো কোনো রাত আমার হয়।
আনন্দের বৃষ্টিজল অবিকল সেই দিনের মত
সেই হাসির মত,সেই রিনিঝিনি নূপুরের,
টিনের চালের আর পাতার গায়ে ঝড়া শব্দের মত।
প্রাণপণে চাইছি শব্দগুলো আরো বাড়ুক,
অনেক অনেক বাড়ুক…
আমার চিৎকারে কান্নার শখ জাগে।
অথচ,আড়াল করতে চাইছি-
এই জলজ হাহাকারের শব্দ।
এই গাছগুলোর ভাষা তোমরা বুঝতে,
হয়তোবা – আমার বেদনা অপ্রকাশ থাকতো না।
এই শালিক চড়ুইদের কথা সকলে বুঝলে-
আমার চৌচির হওয়া হৃদয়ের খবরটা গোপন থাকতো না।
বাকশক্তি সম্পন্ন দেয়াল হলে আমার –
শক্ত চেহারার অভ্যন্তর বেরিয়ে পরত।
আহা এতটা স্পর্শকাতর কেনো থাকবে হৃদয়!?
আবার দাঁড়িয়ে যাবো,আবার হারিয়ে যাবো,
ডান হাত বাড়িয়ে তাতে বা-হাত রেখে বলবো-
তোর ঠিকানা সমুন্নত হয়েছে জলের ছোঁয়ায়
নিদারুণ পত্র-পল্লব আহা..
পথটা গুছিয়ে এসেছে। একটা বিশ্রাম অপেক্ষায়।
একটা মহা বিশ্রাম…।
কেউ না জানুক ঘুমন্ত বেদনার কথা
কেউ না জানুক বিবস হৃদয়ের ঠিকানা
কেউ টের না পাক,ভিতরে আমি কতটা ভেঙ্গে রয়েছি।